আইপিএলের এবারের আসরে নতুন নিয়ম হিসেবে ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ চালু হয়েছে। ইতোমধ্যে আইপিএলের প্রথম ম্যাচেই এর ব্যবহার করা হয়েছে। ফুটবলের মতো প্লেয়ার সাব করার নিয়ম হলেও আইপিএলে ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ নিয়মে কিছুটা ভিন্ন রয়েছে।
আইপিএলের নিয়ম অনুযায়ী, টসের আগে দলের অধিনায়কদের প্রথম একাদশ প্রকাশ করতে হবে না। টসের পর অধিনায়করা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে তারপর প্রথম একাদশ অদল-বদল করে নেবেন। অর্থাৎ, টসের ওপর নির্ভর করে অধিনায়করা ঠিক করতে পারবেন প্রথম একাদশে তারা কাদের খেলাবেন আর কাদের খেলাবেন না।
তবে খেলা চলাকালীন যে কোনো একজন খেলোয়াড়কে বদল করতে পারবে প্রতিটি দল। অর্থাৎ একজনের বদলে অন্যজনকে মাঠে নামানো যাবে। তবে যাকে ম্যাচ থেকে তুলে নেওয়া হবে, তিনি আর সেই খেলায় অংশ নিতে পারবেন না।
খেলোয়াড়কে বদল করার সুযোগ থাকলেও যাকে তাকে ইচ্ছা নামাতে পারবেন না অধিনায়ক।
টসের পর প্রথম একাদশের তালিকার পাশাপাশি পাঁচজন পরিবর্তন ক্রিকেটারের তালিকাও জমা দিতে হবে প্রত্যেক দলের অধিনায়কদের। সেই পাঁচজনের ভেতর থেকেই একজনকে ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ হিসাবে মাঠে নামাতে হবে। তালিকার বাইরে থাকা কোনো ক্রিকেটারকে আর নামানো যাবে না। আবার চাইলে একজন বিদেশির বদলে একজন দেশি খেলোয়াড়কে নামানো যাবে।
কিন্তু একজন দেশি ক্রিকেটারের বদলে কোন বিদেশিকে নামানো যাবে না (যদি না প্রথম একাদশে তিনজনের বেশি বিদেশি খেলোয়াড় থাকেন)। কারণ দলে একসময়ে চারজনের বেশি বিদেশি খেলোয়াড়কে খেলানোর নিয়ম নেই।
খেলার যে কোনো মুহূর্তে ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’কে নামানো গেলেও সাধারণত খেলার দ্বিতীয় ইনিংসেই তাদের নামার সম্ভাবনা বেশি। কারণ প্রথমে যে একাদশ কোনো দল ঘোষণা করছে, সেটা টসের ফলাফলের ওপরই নির্ভর করে করছে। তাই খেলার দ্বিতীয় ইনিংসে দলে বদলের বেশি প্রয়োজন।
চলতি মৌসুমের আইপিএলে ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ নিয়ম আইপিএলের প্রথম খেলায়ও সেটিই দেখা গেল। চেন্নাই সুপার কিংস তাদের দলে আম্বাতি রায়ডুর বদলে তুষার দেশপান্ডে ও গুজরাত টাইটান্স মাঠে কেন উইলিয়ামসনের বদলে সাই সুদর্শনকে নামালেন। আর দুটি বদলই হয় দ্বিতীয় ইনিংসে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন