সোমবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২২

গল্প: সাইকোপ্যাথ ( পর্ব 2 )

আরিয়ান চলে আসার পর পরই তাসনুভাও পার্টি থেকে ওদের বাসায় চলে আসে। এসে সোজা ওয়াশরুমে গিয়ে পানি দিয়ে সমানে ঠোঁটটা ধুতে থাকে কাঁদতে কাঁদতে। কারণ এইতো কিছুক্ষণ আগে ওর এই মিষ্টি গোলাপি ঠোঁটটি আরিয়ানের দখলে ছিল।

টি ভেবেই তাসনুভার অসম্ভব অসহ্য লাগছে। কিভাবে একটি ছেলে সবার সামনে এভাবে ওর সাথে এমন করতে পারে! তাসনুভা রাগে আর কষ্টে শেষ হয়ে যাচ্ছে। রিহানের কথা ভেবেও ওর আরো বেশি খারাপ লাগছে। তাসনুভা ভেবেছিল রিহান বোধহয় শেষ পর্যন্ত ওর জন্য লড়াই করবে। কিন্তু ও যে আরিয়ানের মতো টাকার পাগল তা ও বুঝতে পারে নি। তাসনুভার খুব খারাপ লাগছে। ওর এখন কিচ্ছু ভালো লাগছে না। ও কাঁদতে কাঁদতে একসময় ফ্লোরে বসে পড়ে। আরিয়ানের শেষ কথাগুলো এখনো তাসনুভার কানে বাজছে। আরিয়ানকে বিয়ে না করলে ওর বাবার ক্ষতি করবে ও। তাসনুভা এটি ভেবেই ওর কান্না আরো বেড়ে যায়। ও বুঝতেই পারছে হঠাৎ ঝড়ের মতো কেন এই আরিয়ান ওর জীবনে পা রাখলো! কি এমন দেখেছে এই কোটিপতি ওর মধ্যে? সেতো চাইলেই অপ্সরাও বিয়ে করতে পারে। কিন্তু ওই কেন? তাসনুভা উত্তর খুঁজে পায় না৷ শুধু কাঁদে৷

এদিকে, আরিয়ান বাড়িতে পৌঁছাতেই ওর সেক্রেটারি নাতাশা বলে উঠে,
~ স্যার আমার একটি প্রশ্ন ছিল, করি?
আরিয়ান বেশ হাসিখুশি হয়ে সোফায় বসতে বসতে বলে,
- হ্যাঁ অবশ্যই করো।
~ আপনি তাসনুভা ম্যামের মতো সাধারণ একটি মেয়ের জন্য এত গুলো টাকা কেন খরচ করলেন? আপনি তো চাইলে তার চেয়েও সুন্দরী, রূপসী মেয়ে পেতেন এমনিই। কিন্তু তাসনুভা ম্যামই কেন?
আতিয়ান হাসতে হাসতে বলে,
- নাতাশা তোমার এই স্বভাবটি আর গেল না। তোমাকে সব জানতেই হবে তাই না? আচ্ছা বলছি। তুমি ঠিক বলেছো, তাসনুভা একটি সাধারণ মেয়ে। ওর বাবা কোটিপতি হওয়া স্বত্ত্বেও ওর চোখে আমি কোন অহংকার দেখি নি। আজ পর্যন্ত যত ধনী মেয়ের সাথে পরিচিত হয়েছি কিংবা মিট করেছি, সবার চোখে অহংকার আর রূপের দেমাগ দেখেছি। কিন্তু তাসনুভা খুব স্পেশাল। ও অসম্ভব সুন্দরী হয়েও রূপের দেমাগ না দেখিয়ে সবার সাথে কত সুন্দর মিশে গিয়েছে। ও সাধারণ হলেও ওর সবকিছু অসাধারণ। আর সবচেয়ে বড়ো কথা হলো রিহানের মতো ছেলে ওকে কখনো ভালো রাখতে পারবে না৷ ওকে ভালো রাখবো শুধু আমি। ও শুধু আমার হবে৷ আমার ভালবাসার পুতুল ও। হাহা৷
নাতাশা ভীতু দৃষ্টিতে আরিয়ানের দিকে তাকিয়ে থাকে। কারণ ও জানে আরিয়ানের এই হাসির পিছনে অজানা অনেক রহস্য লুকিয়ে আছে৷ আরিয়ান হাসতে হাসতে ওর রুমে চলে যায়। ও আজ যে কত বড়ো একটি গেইম খেলেছে তা শুধু নাতাশাই জানে৷ পার্টিতে নাতাশাকে ইশারা করা মাত্রই, নাতাশা রিহানের বাবা মানে ইলিয়াস সাহেবের কোম্পানির হেডকে ফোন দিয়ে ভয় দেখিয়ে মিথ্যা কথা বলতে বলে। ঠিক প্ল্যান মোতাবেক রিহানের বাবার পার্সোনাল সেক্রেটারি রনি ফোন দিয়ে মিথ্যা বলেছিল যাতে তারা ভয় পায়। এরপর আরিয়ান জানতো তাসনুভার বাবা অবশ্যই তার বন্ধুকে বাঁচাতে কিছু বলবে৷ আর সেই সুযোগ নিয়েই ও বিশাল বড়ো টাকার লোভ দেখায় ওদের। রিহানরা যদি আরিয়ানের এই টাকা না নিয়ে তাসনুভার পাশে থাকতো তাহলে ও চলে যেত৷ কিন্তু আরিয়ান জানতো রিহান টাকার লোভী। তাই ও এক ঢিলে দুই পাখি শিকার করেছে৷ নাতাশার এসব ভেবেই ওর মাথা ঘুরাচ্ছে। ও ওর নিজের রুমে চলে যায়। সেদিনের সমাপ্তি আরিয়ানের বিজয় দিয়ে হয়৷
পরদিন সকালে,
তাসনুভা সারারাত কান্না করেছে। কান্না করে করে ওর সুন্দর মনকাড়া নয়ন জোড়াটাকে ফুলিয়ে লাল করে ফেলেছে। এখন ও গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। ও জানে না একটু পর ওর সাথে কি হতে চলছে৷ তাসনুভার মা রান্না ঘরে নাস্তা দেখছিল আর ওর বাবা বারান্দায় বসে পেপার পড়ছিল। ওদের বারান্দা দিয়ে মেইন গেইটটি স্পষ্ট দেখা যায়৷ তাসনুভার বাবা রায়হান সাহেব হঠাৎ খেয়াল করেন, সেই সু পরিচিত ডার্ক কালারের এস ক্লাস বিএমডব্লিউ গাড়ি তার বাড়ির সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। এটি আর কারো গাড়ি নয়, আরিয়ানের৷ পুরো দেশে এই দামী গাড়ি শুধু ওর কাছেই আছে৷ দ্বিতীয় কেউ চাইলেও নিতে পারবে না। রায়হান সাহেব দ্রুত বাইরে এসে দারোয়ানকে ইশারা করে আরিয়ানকে ভিতরে আসতে দিতে বলেন। আরিয়ান পার্কিং লটে গাড়ি পার্ক করে নেমে দেখে রায়হান সাহেব দাঁড়িয়ে আছেন৷ ও একটি মুচকি হাসি দিয়ে রায়হান সাহেবের কাছে এসে বলে,
- গুড মর্নিং আঙ্কেল। কেমন আছেন?
- গুড মর্নিং গুড মর্নিং। ভালো আছি। তুমি? না মানি আপনি কেমন আছেন? (নার্ভাস হয়ে)
- ছিঃ ছিঃ আঙ্কেল, আপনি না এখন থেকে শুধু তুমি। আফটার অল আপনার মেয়ের ফিউচার হাজবেন্ড আমি৷ সো কোন সংকোচ করবেন না।
- আচ্ছা আচ্ছা। তা বাবা কোন জরুরি কারণে এসেছো কি?
- কি যে বলেন না আঙ্কেল! শ্বশুর বাড়ি আসতে কি কোন কারণ লাগে? আর আমার জানটা তো এখনো আপনাদের কাছেই। তাকে দেখতেই এসেছি। আর আপনাদের সাথে দেখাও করার জন্য৷ আন্টির সাথে ত তেমন কথা হয়নি। তাই আর কি।
- ওহ! আচ্ছা৷ তাহলে আসো বাবা ভিতরে আসো।
- হ্যাঁ চলেন। বাড়িটি তো ভালোই বানিয়েছেন কিন্তু একটু ছোট।
- কি যে বলো বাবা৷ এত বড়ো বাড়িকে ছোট বললে কিভাবে হবে?
- হাহা। আমার বাড়ি এর চেয়ে অনেক বড়ো বুঝলেন৷ আপনার মেয়ে রাণী হয়ে থাকবে৷
রায়হান সাহেব বেশ বুঝতে পারছেন যে, আরিয়ান ইনডাইরেক্টলি বুঝাতে চাচ্ছে যে, ওনার মেয়ে ওর কাছে অনেক ভালো থাকবে৷ রায়হান সাহেব তা জানেন৷ কারণ দেশের সবচেয়ে বড়ো বিজনেসম্যান আফিয়ান। ওর কাছে তার মেয়েকে বিয়ে দেওয়া ত রায়হান সাহেবের সৌভাগ্য। আরিয়ানকে নিয়ে হল রুমে বসেন রায়হান সাহেব। তাসনুভার মাকে ডাক দিলে তিনি চলে আসেন৷ তিনি হল রুমে এসে আরিয়ানকে দেখে চমকে যান৷ রায়হান সাহেবের দিকে তাকিয়ে আবার আরিয়ানের দিকে তাকান। আফিয়ান তাসনুভার মাকে দেখে বলে উঠেন,
- গুড মর্নিং আন্টি। আপনাকে অসম্ভব সুন্দরী লাগছে৷ একদম রাণীদের মতো।
তাসনুভার মা হেসে দিয়ে বলে,
~ সত্যি?
- তিন সত্যিই আন্টি। বুঝেছি, আঙ্কেল মনে হয় আপনার রূপের প্রশংসা করে না৷ আঙ্কেল এটি কিন্তু ঠিক না। এত সুন্দরী একটি স্ত্রী পেয়েছেন, সবসময় মন ভরে তার প্রশংসা করবেন। আমার তো মনে হয় আন্টির রূপ আর গুণ পেয়েছে তাসনুভা৷ ও একদম আপনার মতো অসম্ভব সুন্দরী।
~ ওরে বাবারে। থামো বাবা থামো। তুমি তো লজ্জাই দিচ্ছো আমাকে৷ তবে হ্যাঁ আমার মেয়েটি লাখে একটি। ওর মতো কেউ হয় না৷
- ভুল বললেন আন্টি।
~ কেন বাবা? (চিন্তিত স্বরে)
- লাখে না বলবেন কোটিতে একটি
~ ওওও৷ হাহা৷
- তা আন্টি আমাকে আপনার মেয়ের জামাই হিসেবে মেনে নিতে কোন সমস্যা নেই তো?
তাসনুভার মা মনে মনে বলেন,
~ সমস্যা থাকলেও বা কি হবে। যদি বলি সমস্যা আছে তাহলে তো আমাদের অবস্থা বারোটা বাজিয়ে দিবে তুমি। অবশ্য এরকম ধনী ছেলের কাছে আমার মেয়ে অনেক সুখেই থাকবে৷ সো আপাতত কোন সমস্যা নেই।
তাসনুভার মা মনে মনে কথা বলে আরিয়ানকে বলে,
~ না না বাবা কোন সমস্যা নেই৷
- যাক তাহলে আপনারা দুজনই রাজি। শুধু ওকে মানাতে হবে৷
- বাবা আমার মেয়েটি অনেক নাজুক। ওর উপর বেশি চাপ দিলে ও নিতে পারে না।
- সে আমার উপর ছেড়ে দিন৷ বউকে মানানোর দায়িত্ব আমার। তা ও কোথায় দেখছি না যে?
~ উপরে ওর রুমে ঘুমাচ্ছে।
- আচ্ছা আমি গিয়ে ডেকে নিয়ে আসি৷
~ এএএ... তুমি যাবে! আমি যাচ্ছি...
- না না আন্টি। আপনি আঙ্কেলের সাথে বসে গল্প করেন। আমিই যাচ্ছি।
রায়হান সাহেব ইশারায় থাক বলে তাসনুভার মাকে। আরিয়ান চলে গেলে রায়হান সাহেব বলেন,
- ছেলেটির সম্পর্কে যতটা খারাপ শুনেছি ততটা খারাপ কিন্তু ও না তাই না?
~ হুম ঠিক বলেছো। দেখলে না আমার কি প্রশংসা করলো। তুমিও তো কখনো এত প্রশংসা করো নি।
- সে যাই বলো, তুমি ওকে ধরতে পারো নি। ও অনেক চালাক বুঝলে। আমাদের মন জয় করতেই এগুলো বলেছে৷ তবে একটি বিষয় অনেক ভালো লেগেছে আরিয়ানের।
~ কি বলো তো?
- ও সব কথার সাথে আমাদের মেয়েকে জুড়ে দেয়৷ এর মানে কি জানো?
~ কি?
- ও সত্যিই আমাদের মেয়েকে চায়৷
~ হ্যাঁ সেটি আমিও বুঝেছি। রিহানদের আসল রূপটাও ও বের করে দিয়েছে। নাহলে আমার মেয়েটি না জানি কত বড়ো একটি বিপদে পড়তো।
- হুম। যাক ভালোই হলো। আমাদের মেয়েটির ভাগ্য আছে বলতে হবে৷
~ কার মেয়ে দেখতে হবে না৷
- হ্যাঁ তোমার একারই মেয়ে৷ আমার তো কিছুই না৷
~ আচ্ছা বাদ দেও এসব। আরিয়ান যে উপরে গেল তাসনুভা কিছু করবে নাতো? ও তো অনেক ক্ষেপে আছে৷
- আসলেই ঠিক বলেছো। আমারও টেনশন হচ্ছে।
এদিকে আরিয়ান উপরে এসে তাসনুভার রুমের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। আস্তে আস্তে করে রুমের ভিতরে ঢুকে ও। দেখে তাসনুভা ঘুমিয়ে আছে। আরিয়ান তাসনুভার আরো কাছে যায়। যাতে ওর ঘুমন্ত মুখখানা কাছ থেকে দেখতে পারে। যেই ভাবা সেই কাজ। আরিয়ান তাসনুভার কাছে গিয়ে ওর ঠিক মুখের সামনে গিয়ে ফ্লোরে হাটুতে ভর দিয়ে বসে পড়ে৷ মাথার উপর দক্ষিণা জানালা দিয়ে সকালের স্নিগ্ধ আলো তাসনুভার মায়াবী মুখখানার উপর পড়ছে আর ঠান্ডা মিষ্টি বাতাস এসে ওর খোলা চুলগুলোকে উড়িয়ে ওর মুখের উপর ফেলে দিচ্ছে৷ আরিয়ান মুগ্ধ হয়ে ঠোঁটের কোণায় মুচকি একটি হাসি নিয়ে তাসনুভাকে দেখছে৷ ওকে দেখে এখন মনে হচ্ছে বাচ্চা একটি মেয়ে ঘুমিয়ে আছে। আরিয়ান খেয়াল করে তাসনুভার চোখগুলো ফুলে আছে৷ গালে অশ্রু লেগে আছে৷ আরিয়ান বুঝতে পারে তাসনুভা অনেক কান্না করেছে৷ তবে ওর ঠোঁট জোড়া আরিয়ানকে খুব টানছে৷ তাসনুভাকে যে এখন কতটা কিউট লাগছে তা বলার বাইরে৷ আরিয়ান ওর মুখের উপর পড়ে থাকা দুষ্টু চুলগুলোকে আস্তে করে কানের পিছনে গুজে দেয়৷ তাসনুভা একটি নড়েচড়ে উঠে। আরিয়ান এবার দু'হাতের উপর মুখ রেখে তাসনুভার মুখের একদম কাছে এসে মানে ওদের নিঃশ্বাস এক হয়ে যাচ্ছে এমন ভাবে বসে তাসনুভার গোলাপি ঠোঁটটার দিকে লোভী দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে৷ দেখছে আর মুচকি মুচকি হাসছে। আরিয়ান এবার একটু দুষ্টামি শুরু করে৷ ও ওর একটি আঙুল দিয়ে তাসনুভার ঠোঁট জোড়াকে স্পর্শ করছে৷ মানে মজা করছে আর কি। ওর খুব ভালো লাগছে এমন করে৷ কিন্তু অপরিচিত ঘ্রাণ আর স্পর্শ পেয়ে তাসনুভার আচমকা ঘুম ভেঙে যায়। চোখ খোলা মাত্রই ও চরম মাত্রায় সক খায়৷ আরিয়ান দেখে তাসনুভা জোড়ে চিৎকার করতে যাবে, ওমনি আরিয়ান দ্রুত হাত দিয়ে তাসনুভার মুখ চেপে ধরে। তাসনুভা চোখগুলো বড়ো বড়ো করে মাথা নাড়াচাড়া করছে৷ মানে ছোটাছুটি করছে৷ আরিয়ান বলে উঠে,
- আচ্ছা হয়েছে শান্ত হও৷ হ্যাঁ আমিই। চিৎকার করে কিছু হবে না৷ তোমার বাবা-মাকে পটিয়েই তোমার কাছে এসেছি।
এবার তাসনুভা অসহায় ভাবে তাকিয়ে থাকে৷ মানে ও কান্না করবে৷ আরিয়ান আবার বলে,
- আমি হাত সরাচ্ছি, যদি চিৎকার দেও তাহলে কিন্তু খুব খারাপ হবে৷
তাসনুভা ভীষণ ভয় পায়। আরিয়ান আস্তে করে মুখের উপর থেকে হাত সরায়। তাসনুভা ভীতু ভাবে তাকিয়ে আছে। আরিয়ান হাসি দিয়ে বলে,
- তুমি যদি এখন চিৎকার দিতে তাহলে তোমার ঠোঁট জোড়াকে কামড়ে দিতাম। যাক বেঁচে গেলে। হাহা৷
আরিয়ানের কথা শুনে তাসনুভা অনেকটা পিছু সরে যায়। আরিয়ান হাসতে থাকে ওর কান্ড দেখে। তাসনুভা এবার রাগী ভাব নিয়ে বলে,
~ এসবের মানে কি? আপনি একটি মেয়ের বেড রুমে কি করছেন? লজ্জা করে না আপনার?
- এই একটি মেয়ে মানে কি হ্যাঁ? তুমি আমার হবু বউ ভুলে গিয়েছো? (ধমকের স্বরে)
আরিয়ানের ধমক খেয়ে তাসনুভা হকচকিয়ে যায়৷ ও আস্তে করে বলে,
~ আমি আপনাকে বিয়ে করবো না৷ আপনি অনেক অনেক খারাপ। আপনার মতো খারাপ লোক আমি আগে দেখি নি৷ আপনি একটি সাইকো।
- কি? আমি অনেক খারাপ? আমি সাইকো? (রাগী ভাবে)
~ হ্যাঁ হ্যাঁ আপনি একটা সাইকো। (জোর দিয়ে বলল)
- ঠিক আছে, আমি যেহেতু খারাপ তাহলে আরও একটি খারাপ কাজ করি দাঁড়াও। (রাগী স্বরে বলল)
তাসনুভা ভয় পেয়ে যায় আরিয়ানের কথা শুনে। এদিকে আরিয়ান আস্তে আস্তে তাসনুভার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে৷ তাসনুভাতো ভয়ে শেষ। ও বুঝে ফেলছে আরিয়ান এখন কি করবে৷ ও সবার আগে হাত দিয়ে ঠোঁট ঢেকে ফেলে। আরিয়ান বেডের উপর উঠে তাসনুভার একদম কাছে চলে যায়। তাসনুভা তখন আর পিছনে না যেতে পেরে চোখ বন্ধ করে ফেলে।

লিখেছেন: আবির


সাইকোপ্যাথ গল্পের সকল পর্ব:

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন