হেমন্তের ঘ্রাণ বইছে বাতাসে।
কুয়াশার আমন্ত্রণ মিশেছে প্রভাতে। অভিমানীর মনে তীব্র অভিযোগ।
পড়ন্ত সূর্যের মতো মুখ লুকায় বালিশে। শিশির বিন্দুর মতো ফোঁটা ফোঁটা জ্বলে সিক্ত হয় শিমুল তুলা। আকাশ যেখানে মিশে একাকার হয় ভূমিতে তার প্রান্তে দাঁড়ানো তালগাছের মতো দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করে প্রিয় মানুষটির পথ চেয়ে। হেমন্ত চলে যায়। শীত আসে, বসন্ত আসে। তবু আসে না তার শহুরে স্বামী। দীর্ঘদিন তার সাথে কোনো সংযোগ নেই। আগের নম্বরটি বন্ধ। একাকী গৃহিণীর হৃদয়ের টেলিফোন তার হৃদয়ে রিংটোন হয়ে বেজেছে কিনা জানা নেই। নানা পুরুষের ললুপ দৃষ্টি তাকে শকুনের মতো ছিঁড়ে খেতে চায়। কচ্ছপের মতো সংকুচিত হয়ে থাকে সে। ভালোবাসার দৃঢ় দেয়াল ভেদ করতে পারেনা কুৎসিত প্রাণীদের কুপ্রস্তাব ও লোভনীয় সরঞ্জাম। স্বামী ফিরবে সুদিন নিয়ে এই অপেক্ষায় ক্যালেন্ডারটা পাল্টে যায়। কিন্তু ফিরে না প্রিয় মানুষটি। ভালোবাসার উপহার স্বরূপ হঠাৎ একদিন খবর আসে সে এখন অন্য রমণীর স্বামী। শহরে এখন অন্য একটি পরিবার রয়েছে তার। জন্ম দিয়েছে নতুন অতিথির।লিখেছেন: অংকুর রায় অনিক
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন