আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহু সকল kazisilo রিডারদের। আপনার দিনটি কিভাবে শুরু হচ্ছে তা দিয়েই আপনার জন্য দিনটি ভালো যাবে না মন্দ যাবে এটা যেমন বোঝা যায়, ঠিক তেমনি আপনি প্রতিদিন সকালে কি খাচ্ছেন তা আপনার সুস্থতার উপর অনেক বড় প্রভাবক ফেলে। তাহলে চলুন জেনে নেই সুস্বাস্থ্যের জন্য সকালে যে পানীয়গুলো আপনি পান করতে পারেন:
১। গাজরের জুস:
গাজরে রয়েছে ভিটামিন এ যা আমাদের দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতে প্রধান ভূমিকা পালন করে। নিয়মিত সকালে এক গ্লাস গাজরের জুস খেলে ত্বকের বয়স বৃদ্ধি ধীর গতির হয়, কারণ গাজরে রয়েছে উচ্চ মাত্রার বিটা ক্যারোটিন।
২। বীট এর জুস:
নাইট্রেট সমৃদ্ধ বীট এর জুস পান করলে আমাদের রক্তনালী প্রসারিত হয় এবং রক্ত সংবহন ও উন্নত হয়। যার ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এবং আমাদের হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
৩। অ্যালোভেরার জুস:
জনপ্রিয় অ্যালোভেরার জুস ডিটক্সিফাইং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে যা আমাদের শরীরের অনেক ক্ষতিকর টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে। এই জুস আমাদের বিপাকের মাত্রা বাড়ায় এবং ওজন কমতেও সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস অ্যালোভেরার জুস আপনাকে আরও উজ্জীবিত করবে।
৪। নারিকেলের পানি:
নারিকেলের পানি বা ডাবের পানি হচ্ছে প্রকৃতি মাতার নিখুঁত একটি পানীয়। যাতে রয়েছে ইলেক্ট্রোলাইট ও খনিজ উপাদান যার চিনি ও চর্বির পরিমাণ কম থাকে। আর এটা যেকোন এনার্জি ড্রিংক অথবা স্পোর্টস ড্রিংক এর চেয়ে উৎকৃষ্ট পানীয়। নিয়মিত সকালে এক গ্লাস ডাবের পানি আপনাকে পরিপূর্ণ এনার্জি প্রদান করবে।
৫। গম ঘাসের জুস:
গম ঘাসের ভেষজ গুণের কথা আমরা অনেকে শুনেছি। গম ঘাসে অ্যামাইনো এসিড ও অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান রয়েছে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস গম ঘাসের জুস খেলে আমাদের পরিপাক নালী পরিষ্কার হয়।
৬। লেবুর পানি:
এক গ্লাস উষ্ণ গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খালি পেটে পান করলে আমাদের পরিপাক তন্ত্রকে খাদ্য গ্রহণের জন্য উপযুক্ত করবে। আর এটির সঙ্গে সামান্য মধু মিশিয়েও পান করতে পারেন।
সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই আমাদের তরল খাবার গ্রহণ করা প্রয়োজন। কারন রাতে একটানা ৮ ঘন্টা ঘুমের পর আমাদের দেহে পানির ঘাটতি তৈরি হয়, তাই এই ঘাটতি পূরণের জন্য অন্য খাদ্য গ্রহণের পূর্বে প্রথমেই পানি পান করা প্রয়োজন। তাই উল্লেখিত পানীয়গুলি থেকে আপনার পছন্দের পানীয়টি নির্বাচন করুন এবং নিয়মিত সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে পান করুন ও সুস্থ থাকুন।
আরও পড়ুন:
মানসিক স্বাস্থ্য বাড়ানোর সহজ উপায়
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন