নীলার অভিযোগ শামীম ওকে ধর্ষণ করেছে! আজকে আদালতে উঠেছে মামলা। সকালেই আদালতে পৌঁছে গেলেন বিচারক আমাদের সবার প্রিয় জনি ভাই। তিনি নীলার বিচার করবেন। তো আদালত তার কাছে জানতে চাইল ঘটনাটা কী?
নীলা বলল শামীমের সাথে আমার পরিচয় হয় অনলাইনে। একদিন রাতে একটি ছেলে আমার ফেসবুক পোস্টে লাভ রিয়াক্ট দিলো। সাথে সাথে মেসেঞ্জারে এসএমএসও দিলো। বলল "হাই।"
একজন এসএমএস দিলে জবাব দেয়াটা ভদ্রতা তা-ই না? আমিও তার জবাব দিলাম।
"হ্যালো।"
"কেমন আছেন?"
"জি ভালো।"
সেইদিন ছেলেটা আর কোনো এসএমএস দিলো না। এরপর থেকে সে আমার প্রতিটা পোস্টে লাভ দেয়! আর সুন্দর সুন্দর কমেন্ট করে। আবার আমার পোস্টগুলি শেয়ারও দেয়!
কয়েকদিন পরে আবার তার এসএমএস।
"আপনি কেমন আছেন? "
"ভালো।"
"আপনি ভীষণ সুন্দর! নীল জামা পরা ছবিটা তো আপনাকে পরীর মতো লাগছে!"
"ধন্যবাদ। তবে আমি কিন্তু এত সুন্দর না।"
"কে বলেছে? "
"আমি জানি তো।"
"আপনার রুমের আয়নাটা বোধ হয় নষ্ট হয়ে গেছে! আপনি হলেন পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরী! "
"ধূর ছাই! আপনি একটু বাড়িয়ে বলছেন।"
"আমার চোখ এমন দেখলে আমি কী করবো বলুন?"
তারপর আমি ওই ছেলেটার নাম জানলাম শামীম। সে দেখতেও খারাপ না। তারপর থেকে আমাদের মাঝে কথা হতে থাকল।
বিচারক জাজ সাহেব জনি বিরক্ত হয়ে বললেন, "এবার আসল ঘটনায় যাও মা।"
তারপর আমরা একদিন আমরা দেখা করলাম।
"দেখা করতে গিয়েই বুঝি তুমি ধরা খাইলা!"
"না দেখা তো হয়েছিল একটি পার্কে। তবে সেদিন কিছুই হয়নি। ও আমাকে অনেক গিফট কিনে দিয়েছে। "
"ও আচ্ছা। তা মা কবে হলো ঘটনা?"
এরপর থেকে আমাদের মাঝে প্রায়ই দেখা হতো। একদিন সে আমাকে বলল," আজ দেখা করতে পারবা?"
"হ্যাঁ, কোথায় আসব?"
"আমাকে একটি ঠিকানা দিলো সে।"
"বাসার ঠিকানা তা-ই না?"
"জি।"
"তুমি গিয়ে বাসায় হাজির হলে আর বদমাশটা কাম করে ফেলল!"
"বাসায় গেছি কিন্তু সেদিন সে কিছুই করেনি। আমি সারাদিন ওর বাসায় ছিলাম কিন্তু আমার হাতটা পর্যন্ত স্পর্শ করে নি।"
"সেদিন বাসায় বুঝি আরও লোকজন ছিলো?"
"না, শুধু আমরা দুইজন।"
জজ জনি এবার বিরক্ত হয়ে বললেন, "বাহ বাহ, মারো তালি, এতো দেখি দরবেশ ছেলে! ঘটনাটা কি বুঝতেই পারছি না। খুবই চালু মাল। বলো বলো তারপর কী হলো?"
এরপরে সে আমাকে আরেকদিন বাসায় যেতে বলল, সেদিনও বাসায় কেউ ছিলো না।
"বুঝেছি। আরও বলতে হবে না। সেদিনই কামটা করে ফেলল! তা-ই না?"
"উফ শুনবেন তো। না, সেদিন শুধু একটি কিস করেছে।"
"বাহ, তারপর তারপর আর কিছুই করেনি?"
"উহু বললাম তো না।"
"ও আচ্ছা! তাহলে ঘটনা কবে হলো?"
"এরপরে আরেকদিন ওর বাসায় গেলাম।"
"ছেলে তো দেখি বহুত সেয়ানা মাল! সে ধীরে ধীরে এগিয়েছে! বলো দেখি
এবার কী ঘটল?"
সেদিন সে আমার সাথে সব কিছু করল!
"এতক্ষণে আসল জায়গা আসলে। অবশেষে করল! যা ভেবেছিলাম। কঠিন চালাক ছেলে! তা তুমি কী করলা? মানে বাধা দিতে চিৎকার চেচামেচি করছো না? বলল নি বাঁচাও বাঁচাও!"
"না। "
"ও বুঝেছি। তাকে ভয় পেয়েছ বুঝি! তাই চুপ করেছিলে!"
"না।"
"তাহলে তাকে বাধা দিলে না কেন?"
"আমি তো তখন ভালোবাসা মনে করেছিলাম। "
"কখন বুঝলা যে এটা ভালোবাসা না?"
"যখন জানলাম ওর আরও একটি বউ আছে!"
writer: Nabil Mahmud
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন