নতুন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলার সময় নাদিয়া আলী নামের পাশাপাশি আমার ক্রাশের ছবি দিয়েছিলাম। কে জানতো সামান্য ছবির জন্য আমাকে এত প্যারার মধ্যে পড়তে হবে।
যাই হোক অ্যাকাউন্টটি খুলার পর আর অনলাইনে আসা হয় নি। তিনদিন পর একটু সময় পেয়ে যখন অনলাইনে ঢুকলাম দেখি শতশত ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট এসেছে। যার মধ্যে বেশির ভাগ মেয়ে আইডি। তারপর যখন ম্যাসেন্জারে ঢুকলাম দেখি সেইম অবস্থা। অনেক মেয়ে আমাকে এসএমএস দিয়েছে তার মধ্যে কিছু মেয়ের এসএমএস এমন ছিল-
-বাবু তুমি নতুন ফেসবুক আইডি খুলছো। কই আমাকে তো একবার বললা না। বাবু....ও বাবু.....আর একজন এসএমএস দিয়েছে-
তোমার নামটা ভারি সুন্দর। ঠিক তোমার মতো।
এমন শতশত এসএমএস এসেছে। তার মধ্যে একটা মেয়ের ম্যাসেজ দেখে
আমি একটু চমকে গেলাম। ম্যাসেজটায় খারাপ কথা ছিল।
এসএমএসটা দেখার পর আমি যেন রীতিমত ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।আল্লাহ এই রকম গালি কেউ বয়ফ্রেন্ডকে দিতে পারে।ভাবলাম মেয়েটার রিকুয়েস্টটা অ্যাকসেপ্ট করি। দেখি কি হয়।
তারপর আমি নিজেই এসএমএস দিলাম-
বাবু তুমি কি রাগ করছো?
-নাহ। তোর উপর রাগ করে লাভ আছে।
-তুমি এইভাবে বলো কেন?
-তোরে এর থেকে ভালভাবে বলতে পারব না।
-তুই???
-ওহ সরি তোমাকে তো আবার তুই বলা যাবে না।
মনে মনে ভাবলাম। মেয়ের ভাব দেখতো। প্রেম করে আমার ক্রাশের সাথে তারপর আবার এত ভাব। দাঁড়াও ভাব ছুটাচ্ছি-
-ওই শোন তোর সাথে ব্রেকআপ।
-কি???? তুই বলার কেরে???
-যেই হয়। তুই আর কখনো আমার সামনে আসবি না। নতুন একজনকে পাইছি সে আমায় অনেক ভালোবাসে তোর মতো না।
-কি?????
কিছু যাতে আর বলতে না পারে তাই তোকে ব্লক দিয়ে দিলাম। যাক ক্রাশ এখন সিঙ্গেল। আর আমি টেনশন মুক্ত।
কিন্তু কিছুক্ষন পরেই দেখি আর একটা মেয়ে এসএমএস দিয়েছে - একই বানী সেও ক্রাশের গার্লফ্রেন্ড। তার সাথেও আমি ব্রেকআপ করলাম।
আবার আর একটা মেয়ে। এইভাবে বেশ কয়েকটা মেয়ের সাথেই ব্রেকআপ করলাম। শেষমুহুর্তে ক্লান্ত হয়ে গেছি। আল্লাহ এতগুলা প্রেম কেউ করে।
শেষ এসএমএস হিসাবে আর একটা মেয়ের রিকুয়েস্ট অ্যাকসেপ্ট করলাম। সে আর ক্রাশের গার্লফ্রেন্ড না। তার সাথে ভালোই বেশ কয়দিন জমে উঠলো। এখন সে আমাকে দেখার জন্য পাগল। এত করে বলতেছি আমার ফোনে সমস্যা সে শুনতেই রাজি না। শেষমেশ অসহ্য হয়ে তার ভিডিও কল রিসিভ করলাম।
প্রথমে মুখটা দেখাইনি। ভাবলাম আগে ওপাশ থেকে মেয়েটার মুখটা দেখেনি। কিন্তু সেও ভীষণ চালাক। আগে আমার মুখটাই দেখবে। পালাজু দেখিয়ে দিলাম। ওপাশ থেকে সে বলে উঠলো:
বাহ তুমি লুঙ্গি পরেছো। দেখি না তোমায় কেমন লাগে লুঙ্গিতে।
কিন্তু আমি ওকে কি করে বুঝাবো এটা লুঙ্গি না পালাজু। তারপর অসহ্য হয়ে বললাম-
দেখো আমি লুঙ্গি পরিনি পালাজু পরছি। আর আমি তো ছেলে না...... মে.....য়ে...বলেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেলাম। এতক্ষনে ওপাশের মুখটা দেখতে পেয়েছি।
আসলে ওপাশে যে ছিল সে ও কোন মেয়ে না। আসলে সে ছিল আমার ক্রাশ। আমাকে ধরার জন্যই সে এই ফন্দি করেছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন