শনিবার, ২৭ আগস্ট, ২০২২

এখন আর সন্ধ্যা হলে চারপাশ পড়ার আওয়াজ শোনা যায় না

হারিয়ে যাচ্ছে লেখাপড়া, হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের গ্রাম থেকে । এখন আর সন্ধ্যা হলে এক জনের পড়া শুনে আরেকজন পাল্লা দিয়ে বই পড়ে না। কোন মা-বাবা তার সন্তানকেও বলে না যে অমুক বই পড়তেছে তুই বসে আছিস কেন।

আমাদের সময় সন্ধ্যা হলেই চারপাশ থেকে বিভিন্ন স্বর ভঙ্গিতে বই পড়ার আওয়াজ শোনা যেত। 

আর পরীক্ষা কাছাকাছি থাকলে তো কথাই নেই। কোন সহপাঠী বন্ধু দিনে ও রাতে কতক্ষণ বই পড়ে গোপনে খোঁজ নিয়ে তাদের সাথে প্রতিযোগিতা করা হত। 

এমনকি সবচেয়ে খারাপ ছাত্রটিও রাত-দিন পড়তো। বর্তমান যে কোন বোর্ড পরীক্ষার আগে গভীর রাতে ঘুম থেকে উঠে পড়ার চর্চাটাও আর নেই। 

এ চর্চাটার জন্যই বাড়িতে অ্যালার্ম ঘড়ির  আলাদা একটা কদর ছিল। বোর্ড পরীক্ষার আগে বিভিন্ন ধরণের বই প্রত্যাশা ,পাঞ্জেরী, শিওর সাকসেস, টপ ব্রিলিয়ান্ট সাজেশন্সেরও খুব কদর ছিল। 

এছাড়া আগের বছর পাশ করা ভাই বোনদের কাছ থেকে নেওয়া সাজেশনস নিয়ে চুল ছেঁড়া বিশ্লেষণ চলতো।

দেখুন মাত্র ৫/১০ বছরের ব্যবধানে এগুলি প্রায় সবই বিলীন হয়ে গেল। 

আজকাল সন্ধ্যার পর এখন দল বেঁধে নামধারী কিছু ছাত্ররা ছাত্রীরা মোবাইলে ব্যস্ত থাকে। কোথাও নেই কোন পড়ার শব্দ। 

গ্রূপ চ্যাটিং, অনলাইন/অফলাইন গেমস, টিকটক,চুলের বিভিন্ন স্টাইল কার্টিং করে এলাকার পাড়া-মহল্লায় ও বাজারে আড্ডাবাজি, গ্রুপিং করা এগুলোই হয়ে উঠেছে এখন তাদের পছন্দের তালিকায়।

খুবই দুঃখজনক হলেও সত্য যে আমারা সম্ভবত খুব ভয়ংকর কিছু দেখতে চলেছি পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে।

বর্তমান আমরা প্রায়ই দেখি ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা চশমা পড়তেছে কারণ তারা চোখে সামনে কিছু দেখতে পায় না।

অনেকে এটার কারণ হিসেবে অতি মাত্রায় ফোন ব্যবহার কারী বা অপব্যবহার কারিকেই দায়ি করছেন।

 (সংগৃহীত)

.

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন